শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

Bhorer Bani
সোমবার, ১৭ আগস্ট ২০২০
প্রথম পাতা » » পাঁচ মাসে সাড়ে ৫ হাজার তালাক
প্রথম পাতা » » পাঁচ মাসে সাড়ে ৫ হাজার তালাক
৬৪২ বার পঠিত
সোমবার, ১৭ আগস্ট ২০২০
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাঁচ মাসে সাড়ে ৫ হাজার তালাক

 ---

দেশে বাড়ছে ডিভোর্সের সংখ্যা। লকডাউনের প্রথম দিকে রাজধানী ঢাকা শহরে তালাকের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু দুই মাস ঘুরতেই বেরিয়ে এলো ভিন্ন চিত্র।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কর্মব্যস্ত স্বামী ও স্ত্রীর জীবনে লকডাউনের প্রথম দিকটা ছিল অনেকটা হানিমুনের মতো। কিন্তু সময়ের ব্যবধানে হারিয়ে গেছে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর ভালোবাসা।

গৃহবন্দিত্ব রূপ নিয়েছে গৃহবিবাদে, যার ফলাফল এমন পরিসংখ্যান। তাছাড়া লকডাউনের শুরুর দিকে বাইরে বেরুতে না পারায় চাইলেও অনেকে ডিভোর্স কার্যকর করতে পারেননি, যার প্রভাব পড়েছে জুলাই মাসে এসে।

হিসেব বলছে, শুধু রাজধানীতে স্বামী-স্ত্রীর কলহে প্রতি ঘণ্টায় একটিরও বেশি সংসার ভেঙে যাচ্ছে। মাসে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে ৮৪৩টিরও বেশি পরিবার। এর মধ্যে বিচ্ছেদে এগিয়ে রয়েছেন নারীরা।

বিবিএসের সর্বশেষ গবেষণা বলছে, ঢাকার তুলনায় অন্য বিভাগীয় অঞ্চল ও জেলাশহরগুলোতে নারী-পুরুষদের বিবাহ বিচ্ছেদের হার ও আশঙ্কা উভয়ই বেশি।

হিসাব অনুযায়ী, তালাক নোটিশ প্রেরণকারীদের প্রায় ৭০ শতাংশই নারী। যার মধ্যে রাজধানী গুলশান ও বনানীর অভিজাত পরিবারের শিক্ষিত ও বিত্তবান নারী থেকে শুরু করে কর্মজীবী নারীর সংখ্যাই বেশি।

তবে সমাজ বিজ্ঞানীরা বলছেন, বাস্তবে বিয়ে বিচ্ছেদের হার আরো বেশি। কারণ অনেক মধ্যবিত্ত ও শ্রমজীবীসহ অনেক পরিবার রয়েছেন যাদের বিচ্ছেদ পারিবারিক সালিশের মাধ্যমে ঘটে থাকে। যার হিসেব সিটি করপোরেশনে বা কিংবা কোথাও দালিলিকভাবে লিপিবদ্ধ থাকে না।

রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের হিসেব মতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয়মাস হলেও লকডাউনে একমাস বন্ধ ছিল। বাকি ৫ মাসে দুই সিটিতে তালাক চেয়ে নোটিশ জমা পড়েছে ৪ হাজার ২১৬টি। এর মধ্যে উত্তর সিটিতে ২২ শ’ এবং দক্ষিণে ২০১৬টি। আবেদনকারীদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৩৫ শতাংশ আর নারীদের ৭০ শতাংশ।

এর মধ্যে জানুয়ারিতে উত্তর সিটি করপোরেশনে ৬১৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৪১ জন, মার্চে ৪৫৫ জন বিচ্ছেদের আবেদন করেন। সাধারণ ছুটির কারণে এপ্রিলে কোনো আবেদন করা হয়নি। মে মাসে ৫৪টি এবং জুন মাসে তা বৃদ্ধি পেয়ে ৬৩২ জনে দাঁড়ায়।

একইভাবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানুয়ারিতে ৫২৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৪৪২ জন, মার্চে ৪৯২ জন বিচ্ছেদের আবেদন করেন। উত্তরের মতো দক্ষিণেও এপ্রিল মাসে বিচ্ছেদের কোনো আবেদন করা হয়নি। তবে মে মাসে ১১৩ জন ও জুনে ৪৪১ জন বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।

বিচ্ছেদের আবেদন নিষ্পত্তি করেন এমন কর্মকর্তাদের মতে, স্বামীর বিরুদ্ধে স্ত্রীর করা আবেদনে কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে- স্বামীর সন্দেহবাতিক মানসিকতা, পরকীয়া, স্বামী প্রবাসে থাকা, যৌতুক, মাদকাসক্তি, ফেসবুকে আসক্তি, ব্যক্তিত্বের সংঘাত।

অন্য দিকে স্বামীর পক্ষে আবেদনের ক্ষেত্রে-স্বামীর ইচ্ছাকে প্রাধান্য না দিয়ে নিজের ইচ্ছায় চলা, ফেসবুক আসক্তি, বদমেজাজ, সংসারের প্রতি কম মনোযোগ দেয়া, ধর্মকর্মে উদাসীনতা, বন্ধ্যাত্বসহ বিভিন্ন কারণ দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে মাত্র পাঁচ শতাংশ দম্পতি বিচ্ছেদে না গিয়ে পুনরায় সংসার করার বিষয়ে একমত হচ্ছেন।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ প্রতিবেদন বলছে, বিবাহ বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে নারীরা বর্তমানে ঝুঁকিতে আছেন। বর্তমানে মোট জনসংখ্যার মধ্যে প্রতি হাজারে ১০.৮ শতাংশ নারী বিবাহ বিচ্ছেদ করেছেন।

এর বিপরীতে প্রতি হাজারে ১.৫ শতাংশ পুরুষ বিচ্ছেদ করেছেন। আর বিচ্ছেদের আবেদনকারীদের মধ্যে যারা উচ্চমাধ্যমিক পাস করেছেন তাদের সংখ্যা বেশি (হাজারে এক দশমিক ৭ জন)। আর অশিক্ষিতদের মধ্যে এই হার হাজারে শূন্য দশমিক ৫।

অন্য দিকে গ্রামাঞ্চলে বিচ্ছেদের হার যেখানে হাজারে এক দশমিক ৩ শতাংশ আর শহরে এই হার হাজারে শূন্য দশমিক ৮ জন। এক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ২৫ থেকে ২৯ বছর বয়সীরা সবচেয়ে বেশি আবেদন করছেন।

সংস্থাটির হিসাব অনুযায়ী, গ্রামের দম্পতিরা শহরের দম্পতিদের তুলনায় বিবাহ বিচ্ছেদে বেশি আগ্রহী। এর মধ্যে দেশের বিভাগীয় পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি রাজশাহী এলাকার মানুষ (প্রতি হাজারে ১.৭ শতাংশ হারে) বিচ্ছেদের আবেদন করেন।

এরপর বিচ্ছেদের ক্ষেত্রে এগিয়ে আছে খুলনা (প্রতি হাজারে ১.৪ শতাংশ)। তবে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিবাহ বিচ্ছেদের হার দেশের অন্য বিভাগের তুলনায় কম (প্রতি হাজারে তা ০.৫ শতাংশ)। তথ্যানুযায়ী ২৫ থেকে শুরু করে ২৯ বছর বয়সী নারী-পুরুষরা সবচেয়ে বেশি বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেন।

গবেষণামতে, যারা ২৭ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে বিয়ে করেন তাদের দাম্পত্য জীবন তুলনামূলক বেশি টেকসই ও স্থায়ী হয়ে থাকে। অন্য দিকে যারা টিনএজ (১৩-১৯ বছর) বা ৩২+ বয়সে বিয়ে করে তাদের ডিভোর্সের হার বেশি। বিশেষ করে কম বয়সে বিবাহবন্ধনে যারা আবদ্ধ হয় তারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

১৯৬১ সালের মুসলিম পারিবারিক আইন অনুযায়ী তালাক আবেদনের ৯০ দিনের মধ্যে কোনো পক্ষ আপস বা তালাক প্রত্যাহারের আবেদন না করলে তালাক কার্যকর হয়ে যায়।

এ বিষযে ঢাকা উত্তর সিটির আইন কর্মকর্তা জানান, নিয়ম অনুযায়ী সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষের কাছে বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করার তিন মাস বা ৯০ দিনের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঠেকানোর জন্য করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগ শালিসি বৈঠকের ব্যবস্থা করে।

কিন্তু যারা আগে থেকেই বিচ্ছেদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন- তারা এই বৈঠকে আসেন না। আবার কেউ কেউ বিশেষ করে সন্তানের কথা ভেবে শেষ পর্যন্ত বিচ্ছেদ যাবেন না বলেও আপসে যেতে রাজি হন। তবে এর হার মাত্র ৫ শতাংশ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এক অধ্যাপক বলেন, লকডাউনের কারণে দিনের পুরো সময়টাই স্বামী-স্ত্রী কাছাকাছি থাকছেন। তাতে করে ছোটখাটো বিষয় নিয়েও পরস্পরের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দিচ্ছে। তাছাড়া করোনাভাইরাসের কারণে বেশিরভাগ মানুষেরই উপার্জন বন্ধ কিংবা কমে গেছে।

কথায় আছে, অভাব যখন ঘরে আসে ভালোবাসা তখন জানালা দিয়ে পালায়। অভাবের কারণে পরস্পরের মধ্যে ভালোবাসারও ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এসব কারণেই ডিভোর্সের হার বাড়তির দিকে।



কমলনগরে বহিরাগত যুবক দিয়ে অস্ত্রোপচার, স্বামী-সন্তান নিয়ে আড্ডায় মগ্ন ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা
বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না-এমপি নজরুল ইসলাম বাবু
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদের মোশারেফ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দু’জনের মনোনয়ন বাতিল
কমলনগরে ডেঙ্গু জ্বর মানে-ই হঠাৎ আতংক
লক্ষ্মীপুরে তৃণমুলে আলোচনায় যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ভুলু
কমলনগরে বিএনপি’র অফিস ভাঙচুর
কমলনগরে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা, বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ র্যালী
জামালপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আ’লীগে মতবিনিময় সভা
জামালপুরে যুবলীগের তারুণ্যর জয়যাত্রা সমাবেশের প্রস্তুতি সভা
সরিষাবাড়ীতে জনতার সাথে মতবিনিময় করেন প্রকৌশলী মাহবুব হেলাল
ঈদের শুভেচ্ছা জানান ভাইস চেয়ারম্যান শিলা
ঈদের শুভেচ্ছায় আ’লীগ নেতা সাজু
“ডেইলি ভোরের বাণী” পরিবারে ঈদুল আজহা’র শুভেচ্ছা
কমলনগরে স্মার্ট ভূমিসেবায় চালু হয়েছে গ্রাহক সেবা