শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

Bhorer Bani
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
প্রথম পাতা » জাতীয় » জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা অসম্মানজনক
প্রথম পাতা » জাতীয় » জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা অসম্মানজনক
৪৯৬ বার পঠিত
শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা অসম্মানজনক

---

ভী-বাণী ডেস্ক : দেশের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ইউনিয়ন পরিষদে জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্যেদের মাসিক সম্মানি (বেতন) কত.? অনেকের জানা নেই। জানলে চোখ কপালে উঠবে…। তবে সম্মানি ভাতা নয় তাদের সম্মান স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক। তারা প্রশাসনের মধ্য নিম্ম স্তর। তাদের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয় দেশের গ্রামীণ প্রশাসনিক আইন নালিশ-সালিশ। তারা গ্রাম, এলাকা, পাড়া-মহল্লায় বিভিন্ন সমস্যার প্রাথমিক সমাধানকারী হিসেবে পরিচিত। ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধিরা সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। অথচ তাদের মাসিক সম্মানি, অসম্মানজনক। পৌরসভা, উপজেলা পরিষদ এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ববানদের চেয়ে অসম্মানজনক সম্মানি ভাতা পাচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ। তাদের সম্মানি ভাতা দেখলে আপনি মনে করবেন এরা কি অবস্থায় পরিষদ চালাচ্ছেন।

এছাড়া এরা সম্মানি নিচ্ছে দু’ভাবে সরকারি ও পরিষদ তহবিল থেকে। প্রতিনিয়ত পরিষদ চালাতে তাদের বাড়তি খরচ গুনতে হচ্ছে। অথচ সেই তুলনায় কোন ধরণের সম্মানি বা বেতন পাচ্ছে না তারা।জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি বা বেতন কম থাকলে প্রাথমিক স্তরে দুর্নীতি বাড়বে আর সম্মানি বেশি হলে দুর্নীতি কমবে ও জনসেবা বাড়বে তারা মনে করা হচ্ছে।

জানা যায়, জন প্রশাসন মন্ত্রনায়ল থেকে জনপ্রতিনিধিদের মাসিক সম্মানি (বেতন)বৃদ্ধি করে অর্থমন্ত্রনালয়ে চিঠি প্রেরণ করা হয়। ২০১৬ সালে ১লা জুলাই তাদের সম্মানি ভাতা কিছুটা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি হয় এবং তার কার্যকর এখনও চলছে।

দেশের অনেক স্থানে নির্বাচিত চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ পরিষদের কাজ রেখে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাচ্ছে। কিছু স্থানে সম্মানের দিকে তাকিয়ে কাজও করতে পারছে না তারা। অনেক মেম্বার সংসার চালাতে হিশসিম খাচ্ছে।

লক্ষ্মীপুরের কয়েকটি ইউপি’র চেয়ারম্যানদের সাথে আলাপ করলে তারা জানান, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা। তারা ভোটের সময় জনগণকে কথা দেন সেবা করবে। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর কথা রাখতে পারে না। প্রতিদিন পরিষদে চেয়ারম্যানদের যে খরচ হয়। তা সম্মানির কয়েক মাসেও পরিশোধ হয় না। চেয়ারম্যানদের সম্মানি কম হওয়ায় দুর্নীতি বাড়ছে। মাত্র কিছু টাকা সম্মানি পেতে হচ্ছে। তাও সরকার ও স্থানীয় পরিষদ তহবিল থেকে নিতে হচ্ছে।

অন্যদিকে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানগণ যে সম্মানি পায় তার কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট হয়। তাদের প্রতিদিনের কাজ আর ইউপি পরিষদের কাজ অনেক তপাৎ। একজন ইউপি চেয়ারম্যান প্রতিদিন কাজ করতে হয়। যেমন জন্মনিবন্ধন, নাগরিক সনদ, সালিস-দরবার। এছাড়াও সরকারি ভাবে ভিজিএফ, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, মাতৃকালিন ভাতাসহ জেলেদের চাল বিতরণ ইত্যাদি বরাদ্দ থাকে। বরাদ্দ গুলোর কাজ চলমান থাকে। সরকারি দায়িত্ব পালন করে অন্য আয়-রোজগারের কাজ করা যায় না। পরিষদ নিয়ে পড়ে থাকতে হয়। এসব দিক বিবেচনা করলে সম্মানি ভাতা নেই বললেই চলে। কষ্টের মধ্যে জীবন সংসার চালাতে হয়।

লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা ইউপি চেয়ারম্যান এড. নুরুল আমিন রাজু বলেন, চেয়ারম্যান, মেম্বারদের মাসিক সম্মানি খুবই কম, অসম্মানজনক। প্রতি তিনমাস পর পর তারা সম্মানি ভাতা পায়। এই সম্মানি ভাতা সম্পূর্ণ সম্মানহীন। জেলা ডিসি অফিসে সম্মানি ভাতা নিয়ে অনেক বার কথা বলেছি। সারাদেশে চেয়ারম্যান, মেম্বারদের পরিষদ রয়েছে। তাদের সাথে আলাপ করেছি। একজন জনপ্রতিনিধি যেটুকু সম্মানি পায় তাতে তার দৈনন্দিন খরচও হয় না। এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের নজর দেয়া উচিত।

তিনি আরও বলেন, একজন ইউপি চেয়ারম্যান মাসে ১০ হাজার টাকা সম্মানি পায়। তারমধ্যে ৫ হাজার ৪শ সরকার ও ৪ হাজার ৬শ টাকা পরিষদ তহবিল। মেম্বারগণ মাসে ৮ টাকা সম্মানি পায়। তারমধ্যে ৩ হাজার ৬শ সরকার ও ৪ হাজার ৪শ টাকা পরিষদ তহবিল। এদিকে, একজন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাসে ৪০ হাজার ও ভাইস চেয়ারম্যানগণ মাসে ২৭ হাজার টাকা সম্মানি পান। এদের তুলনায় ইউনিয়ন পরিষদ জনপ্রতিনিধিদের কাজ বেশি সম্মানি ভাতা কম।

মেম্বার এসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এসএম ফরিদ রানা বলেন, নির্বাচিত মেম্বারদের সম্মানি ভাতা নেই বললেই চলে। প্রতিদিন মেম্বারদের জনগন নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। সামান্য ভাতা দেয়া হচ্ছে তাও সম্পূর্ণ রাজস্ব নয়। সরকারি ভাতা ছাড়া, পরিষদ ভাতা পাওয়া যায় না। সরকারি ভাতা এত কম বলতেও লজ্জা লাগে। যেখানে দেশের দিনমজুরে দৈনিক মজুরি ৫-৬ শত টাকা। সেখানে মেম্বার অথবা জনপ্রতিনিধির সম্মানি ভাতা মাত্র সাড়ে তিন হাজার টাকা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মেম্বারদের কিছু দাবি নিয়ে আন্দোলন চলছে। তারমধ্যে সম্মানি ভাতা বৃদ্ধি এবং তা সম্পূর্ণ রাজস্বখাত থেকে দিতে হবে। সারাদেশে প্রায় ৫৫ হাজার মেম্বার রয়েছে।

সাংবাদিক সানা উল্লাহ সানু বলেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্তর ইউনিয়ন পরিষদ। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে চেয়ারম্যান, মেম্বারগণ প্রার্থী হয়ে প্রচুর টাকা খরচ করেন। জনগণ টাকা ছাড়া ভোট দিতে চায় না। প্রার্থীরাও সেবামুলক প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের চেহারা ভিন্নতা অবলম্বন করেন। নির্বাচিত হয়ে খরচে টাকা তুলতে মরিয়া হয়ে পড়ে। তখন তারা দুর্নীতি, অনিয়মের আশ্রয় খোঁজে। ইউপি’র জনপ্রতিনিধিদের সম্মানি ভাতা খুবই কম। যার কারণে অনিয়ম, দূর্নীতির আশ্রয় বৃদ্ধি পাচ্ছে মনে করছি। তাদের সম্মানি ভাতা সম্মানজনক হলে অনিয়ম,দূর্নীতি কিছুটা হলেও রোধ করা যেত। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদে জনগনের প্রচুর কাজ রয়েছে। কাজের চাহিদামতে সম্মানি ভাতা অনেক কম।

ভী-বাণী /ডেস্ক



আর্কাইভ

কমলনগরে বহিরাগত যুবক দিয়ে অস্ত্রোপচার, স্বামী-সন্তান নিয়ে আড্ডায় মগ্ন ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা
বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না-এমপি নজরুল ইসলাম বাবু
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদের মোশারেফ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দু’জনের মনোনয়ন বাতিল
কমলনগরে ডেঙ্গু জ্বর মানে-ই হঠাৎ আতংক
লক্ষ্মীপুরে তৃণমুলে আলোচনায় যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ভুলু
কমলনগরে বিএনপি’র অফিস ভাঙচুর
কমলনগরে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা, বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ র্যালী
জামালপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আ’লীগে মতবিনিময় সভা
জামালপুরে যুবলীগের তারুণ্যর জয়যাত্রা সমাবেশের প্রস্তুতি সভা
সরিষাবাড়ীতে জনতার সাথে মতবিনিময় করেন প্রকৌশলী মাহবুব হেলাল
ঈদের শুভেচ্ছা জানান ভাইস চেয়ারম্যান শিলা
ঈদের শুভেচ্ছায় আ’লীগ নেতা সাজু
“ডেইলি ভোরের বাণী” পরিবারে ঈদুল আজহা’র শুভেচ্ছা
কমলনগরে স্মার্ট ভূমিসেবায় চালু হয়েছে গ্রাহক সেবা