কমলনগরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে হট্টগোল
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো.খোরশেদ আলম রতন এবং সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরমান এর সাথে উচ্চ-বাক্য কন্ঠে হট্টগোল তৈরি হয়। গত সোমবার (৩০নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে।
সূত্রে জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার এবং দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এর সাথে দীর্ঘ সময় অফিসে দলিল রেজিস্ট্রি ও অন্যান্য বিষয়ে উচ্চস্বরে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় দু’জনে মারাত্মক ভাবে খারাপ আচারণ উচ্চারণ করে হট্টগোল করেন।
সূত্রে আরও জানা যায়, সাব-রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আরমান দলিলে নানাবিধ ভুল ধরে এ-বি-সি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে দলিলের কোনায় লিখে টাকা আদায় করেন। এ-১হাজার, বি-২ হাজার, /সি-৩হাজার টাকা দলিল লেখকদের কাছ থেকে নেয়। এছাড়াও দলিলের নানাবিধ ভুল ধরে মোটা অংকের টাকা দলিল লেখকদের দিয়ে জমি ক্রয়-বিক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন। সাব-রেজিস্ট্রারকে টাকা না দিলে জমির দলিল রেজিস্ট্রি হয় না।
দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম রতন বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আরমান যোগদানের পর থেকে দলিল লিখকদের সাথে ভাষাগত আচারণ খুবই খারাপ করছেন। তিনি প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে লিখকদের সাথে খারাপ ভাষায় কথা বলেন। প্রতিটি দলিল রেজিস্ট্রি করতে নানাবিধ ভুল ধরে টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে দলিল রেজিষ্ট্রি করেন না। তার আচারণগত ভাষা এবং দলিলে নানাবিধ ভুল ধরে টাকা দাবির বিষয়ে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তখন দু’জনের উচ্চবাক্য আচারণে হট্টোগোল তৈরি হয়।
দলিল লিখক সমিতির সভাপতি মো.ইউছুফ আলী বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার সাথে সমিতির সাধারণ সম্পাদকদের কিছু বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়েছে। আজ মঙলবার এখন পর্যন্ত কোন দলিল রেজিস্ট্রি হয়নি। সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তার সাথে দলিল লিখক সমিতির সদস্যেদের সাথে বিকেলে বৈঠক হবে। তারপর নতুন দলিল রেজিস্ট্রি হবে।
সাব-রেজিস্ট্রার কর্মকর্তা মুহাম্মদ আরমান বলেন, দলিল লিখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. খোরশেদ আলম রতন কিছু ফটোকপি দলিল ও কাগজপত্র নিয়ে রেজিস্ট্রি করতে গেলে তাকে মুল কাগজপত্র দিতে বলা হয়। এতে তিনি হঠাৎ উচ্চবাক্য আচারণ করেন। তিনি দলিল লিখক সমিতির দায়িত্বে থাকায় দলিল রেজিষ্ট্রি করতে দিবে না বলে হুমকি দেন। এছাড়াও প্রায় সময় দলিল রেজিস্ট্রি করতে গেলে ফটোকপি ও নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত কাগজপত্রের দলিল নিয়ে আসেন। দলিল লিখকদের মুল কপি কাগজপত্র জমা দিয়ে দলিল করতে একাধিক বার বলা হয়। সমিতির সদস্যের মধ্যে সাধারণ সম্পাদক ব্যতিক্রম। তার আচারণ গত সমস্যা রয়েছে। দলিল লিখক সমিতির বাজে আচারণের ব্যাপারে উর্ধতন কর্মকর্তাদের জানানো হবে।
ভী-বাণী /ডেস্ক/আমু