বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদকের উপর আ’লীগের হামলা
রামগতি-কমলনগর(লক্ষ্মীপুর)সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাদের নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদ করায় ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো.শাহাজানের উপর হামলা করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরনবী গং। তিনি উপজেলার চর লরেন্স বিএনপির ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছে। আহবায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।
মঙলবার(১৬ সেপ্টেম্বর) রাতের আধারে নুর নবীর সন্ত্রাসি বাহিনীর উপজেলার চর লরেন্স ইউপির সফি উল্লাহ ব্যাপারীর রাস্তার মাথায় হামলার ঘটনা ঘটে। এতে গুরুতর আহত হলেন, মো.শাহাজান(৫০), ইয়ামিন(২৪),শামছুল হক(৪০)।
শাহাজান জানান, বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়ে নুর নবী, চ্যাত বেলাল, নুরুল আমিন প্রায় সময় কটুক্তিমুলক আচারণ ও গালমন্দ করে।এতে বাঁধা দিলে তারাসহ কিছু সন্ত্রাসী দিয়ে রাতের আধাঁরে তার ও পরিবারের লোকজনের উপর অতংকিত হামলা করে। তাদের হাতে থাকা লোহার রট, লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর ও ইস্রাফিলের দোকান লু্ট ও ভাঙচুর করে। সোর চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দৌড়ে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তিতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানান, নুরনবী স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়তি রয়েছে। সে আওয়ামীলীগে ক্ষমতা থাকা অবস্থায় বহু নিরীহ মানুষ নির্যাতন ও হামলা-মামলার শিকার হন। হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়। বাদী মো.ইয়ামিনে করা মামলায় অভিযুক্ত নুরুল আমিন কারাগারে রয়েছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগের থানা সদস্য মেম্বার মো.ইসমাইলের অনুসারি হামলাকারী নুরনবী, নুরুল আমিন, চ্যাত বেলাল। তারা সবসময় সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষকে ভয়-ভীতি, হুমকি ও অত্যাচারের সহযোগিতায় সরাসরি জড়িত থাকতো। এদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ্য স্থানীয় লোকজন। সরকার পতনের পরপর গা ডাকা দিয়েছিল তারা। হঠাৎ আবার বেপোরোয়া হয়ে উঠে। তাদের সময় উপযোগী বিচার দাবি করছি।
অভিযুক্ত নুর নবীর মেঠোফোনে একাধিক ফোন দিলেরও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। কমলনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, হামলার ঘটনায় আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছে নুরুল আমিন। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
ভী-বাণী/ডেস্ক/মোশারেফ হাওলাদার