শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ন ১৪৩২
Bhorer Bani
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » গোল রক্ষক রুপনা’র জরাজীর্ণ পরিবার
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » গোল রক্ষক রুপনা’র জরাজীর্ণ পরিবার
১৩৩০ বার পঠিত
বুধবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২২
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

গোল রক্ষক রুপনা’র জরাজীর্ণ পরিবার

---

বিশেষ প্রতিবেদন : গোল রক্ষক রুপনার ঘরে থাকার জায়গা হয় না। থাকে ভাইয়ের বাড়ি।তার মা বাম চোখে সম্পূর্ণ দেখেন না। ডান চোখে ঝাপসা দেখেন। দু পা মাঝে মাঝে ফুলে যায়। টাকা নেই ফলে ডাক্তার দেখাতে পারেন না। তবু্ও বাঁচার তাগিদে প্রতিবেশী ক্ষেত খামারে দৈনিক মজুরির কাজ করেন সাফ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নের সেরা গোল রক্ষক রূপনার মা কালাসোনা চাকমা (৬৫)।

এতে তাঁর দৈনিক আয় হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। এ টাকা সংসার খরচে যোগান দেন কালা সোনা। এভাবে চলে তাঁর জীবন।

রাঙামাটির নানিয়াচর উপজেলা ঘিলাছড়ি ইউনিয়নের বুইয়ো আদাম গ্রামের জরাজীর্ণ বাড়ির সামনে কথা হয় রূপনার মায়ের সাথে।

তিনি বলেন, খুব কষ্টে দিন পার করি। মাঝে মাঝে রূপনা হাজার দেড়েক টাকা পাঠায়। ৬ মাস পর বিধবা ভাতা পায়। সরেজমিন দেখা যায়, বাঁশের খুটি আর বাঁশের বেড়ার ঘরটি বেশ ঝরাজীর্ণ। এ ঘরে ছেলে বউ ও দুই নাতনির নিয়ে রূপনাদের সংসার।

রূপনার মা বলেন, রাতে তিনি মাটির উপর ফ্লোরিং করেন। বৃষ্টি হলে বাড়িতে পানি ঢুকে মাটির ফ্লোর ভিজে যায়। ঘুম হয় না সেদিন। রূপনা আসলে বাড়িতে থাকার জায়গা হয় না। বড় ভাইয়ের বাড়িতে থাকতে হয়।

রূপনার বড় ভাই অটিল চাকমা (২৮) বলেন, আমি ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছি। এখন দৈনিক মজুরি কাজ করি। আমার দুই ছেলে মেয়ে আর স্ত্রীর খরচ্ও চালাতে পারি না। অর্থের অভাবে মাকে ডাক্তার দেখাতে পারি না।

রূপনার আরেক বড় ভাই শান্তি জীবন চাকমা (৩৫) বলেন, আমি ৩য় শ্রেণী পর্যন্ত পড়েছি। এখন দৈনিক মজুরি কাজ করি। রূপনা তো সারাজীবন ফুটবল খেলতে পারবে না। তার জন্য একটি সরকারী চাকুরী হলে ভাল হয়। না হলে সেও আমাদের মত কষ্ট পাবে।

রূপনার মা বলেন আমার সর্বমোট ৪ সন্তান। দুই ছেলে দুই মেয়ে। রূপনা সবার ছোট। রূপনা যখন আমার পেটে তখন তার বাবা মারা যায়। খুব অভাবের সংসার আমার। আমার কষ্টের শেষ নেই। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া শেখাতে পারিনি। আমার মেয়ের এতটুকু যাওয়ার পেছনে ঘাগড়ার বীরসেন দা, শান্তিমনি বাবুদের অবদান সবচেয়ে বেশী। তারা আমার মেয়েকে ঘাগড়ায় নিয়ে ফুটবল খেলা শিখিয়েছেন।

রূপনার অবিভাবকের প্রয়োজন হলে আমাকে মাঝে মাঝে আমাকে ঢাকায় যেতে হয়। আমাদের কোন টিভি না থাকায় মেয়ের খেলা দেখতে পারি না। আমাদের জন্য একটি ঘর ও রূপনার জন্য একটি সরকারী চাকুরীর ব্যবস্থা করা হলে ভাল হয়।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আমি রূপনাদের বাড়িতে গিয়েছি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেড় লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছি।

প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আমাকে ফোন করে রূপনাদের বাড়ি নির্মাণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমি শিগগির বাড়ি নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করব। তাছাড়া রূপানাদের বাড়ি যেতে একটি সাকো পার হতে হয়। এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য আমি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলব। সেখানে বড় সেতু নির্মাণ করতে হবে।



উপ-সহকারী ভূমি তহশিলদার’র বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ-
গণ সংযোগে ব্যস্ত বিএনপির প্রার্থী আশরাফ উদদিন নিজান
কমলনগরে পরিত্যক্ত টিনশেট ঘরে ঝু্ঁকিতে চলছে দলিল রেজিস্ট্রি
বিয়ের প্রলোভনে তরুণীকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ
মরা খালের ‘প্রাণ’ ফেরানোর দাবি এলাকাবাসীর
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ- কর্মসূচি পালনে বিপাকে ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সানিম
কমলনগরে বহিরাগত যুবক দিয়ে অস্ত্রোপচার, স্বামী-সন্তান নিয়ে আড্ডায় মগ্ন ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা
বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না-এমপি নজরুল ইসলাম বাবু
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদের মোশারেফ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দু’জনের মনোনয়ন বাতিল
কমলনগরে ডেঙ্গু জ্বর মানে-ই হঠাৎ আতংক
লক্ষ্মীপুরে তৃণমুলে আলোচনায় যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ভুলু
কমলনগরে বিএনপি’র অফিস ভাঙচুর
কমলনগরে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা, বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ র্যালী
জামালপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আ’লীগে মতবিনিময় সভা