লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে তৃণমূল বিএনপি’র আস্থা আশরাফ উদ্দীন নিজান

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর-৪(রামগতি-কমলনগর) আসনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আস্থা, অভিভাবক, দলের দু:সময়ের কান্ডারী, কর্মী বান্ধব সাবেক দু’বারের সংসদ, সাবেক মৎস্য ও প্রানী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় কমিটির সভাপতি, কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সহ শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দীন নিজান।

স্থানীয় বিএনপি জানান, জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)তে গত ৪০ বছরে এমন নেতা বা সংসদ সদস্য পাওয়া যায়নি। একমাত্র আশরাফ উদ্দীন নিজান এমপি রয়েছে। যিনি তৃণমূলের সাথে দলের কাজ করেন। নেতা-কর্মীদের সাথে সু-সম্পর্ক, দিক-নির্দেশনা, দলের দু:সময়ের অর্থ সহায়তা, খোঁজ-খবর, নেতা-কর্মীদের বিপদ-আপদে পাশে রয়েছেন। গত পনের বছর দল ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে। গত কয়েক বছরের আন্দোলন সংগ্রামে সারাদেশের মধ্যে হামলা-মামলা শিকার লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন। এখানে শত শত নেতা-কর্মী হামলা-মামলা শিকার হয়েছে। প্রতিটি নেতা-কর্মীর খোঁজ-খবর, মামলায় জামিন, হামলার খরচ এবং তাদের পরিবারে সদস্যের খোঁজ নিয়েছেন। তিনি কখনো দলের নেতা-কর্মীদের অবমূল্যায়ন করেনি। প্রতিটি জাতীয়তাবাদী সদস্যের সাথে সু:খ, দু:খ ভাগ করেছেন। একমাত্র তিনি হচ্ছে তৃণমূল বিএনপির আস্থা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিই হবেন ধানের শীষ প্রতিকের কান্ডারী এমনটা তারা আশা করছেন।

কমলনগর থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নুরুল হুদা চৌধুরী বলেন, গত ৪০ বছরের লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে বিএনপি’র এমন সংসদ সদস্য দেখা যায়নি। যিনি দলের নেতা-কর্মীদের জন্য সাংগঠনিক নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করছেন। একমাত্র আশরাফ উদ্দীন নিজানকে দেখতেছি দলীয় নেতা-কর্মীদের খোঁজ-খবর নিতে। দীর্ঘদিন দল ক্ষমতার বাহিরে রয়েছে। অথচ তিনি প্রতিটি নেতা-কর্মীর হামলা-মামলা খরচ, খোঁজ-খবর নেয়া। প্রতিটি কর্মীর সাথে সরাসরি আলাপ করে যখন যা লেগেছে তার ব্যবস্থা করেন।

তিনি আরও জানান, গতকয়েক বছর দলে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছি। তার নেতৃত্বে গুলাবলিগুলো চমৎকার। তার রাজনৈতিক মতাদর্শ অতুলনীয়। প্রতিটি কর্মীর খবর তিনি যেখানেই থাকেন রাখছেন। তার চোখের সামনে সব হচ্ছে। তিনি দু’বার বিপুল ভোটে সংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। তার নির্বাচনী এজেন্ডায় কোন উন্নয়ন বাদ পড়েনি। তিনি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের খুবই প্রিয়।
নেতা-কর্মীদের সাথে সরাসরি কথা বলেন।

রামগতি থানা বিএনপি’র তৃণমূলের কর্মীরা জানান, আগামীর লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে বিএনপি’র একমাত্র কান্ডারি, আস্থার প্রতিক এবিএম আশরাফ উদ্দীন নিজান। তার কোন বিকল্প নেই। তিনি দলের নিবেদিত। তিনি যেভাবে রাজপথে থেকে নেতা-কর্মীদের সাথে বিপদ-আপদে থাকেন। এমন নেতা বা সংসদ বিএনপিতে আর হবে না।

লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে ২০০১, ২০০৮ সালে ভাগাভাগা প্রার্থীদের হারিয়ে বিপুল ভোটে ধানের শীষ পতীকে নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালে দল নির্বাচনে অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালে দলের সিদ্ধান্তে তিনি ভোটে অংশ নেননি। দল জোটের প্রার্থীকে ধানের শীষ প্রতিক দিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।
রামগতি-কমলনগরে সরেজমিনে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও অন্য সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপ হয়। তারা জানান, এখানের বিএনপির প্রার্থী, তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কান্ডারি আশরাফ উদ্দীন নিজান। তার বিকল্প কোন নেতা বা সংসদ নেই। এখানে গতবারের মত জোটের প্রার্থী দিলে দল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। নেতা-কর্মীরা দলের অভিভাবক হারাবে। দলের দুঃসময়ের হামলা-মামলায় জর্জরিত ছিলেন নেতা-কর্মীরা। তিনি না থাকলে বহু নেতা-কর্মী জেলে মরতেন। পরিবার-পরিজন হারাতেন। লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসন বিএনপির সংসদ আশরাফ উদ্দীন নিজান।

আগামী জাতীয় নির্বাচন যদি নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ এবং তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে হবে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তিনি। তার নেতৃত্বের গুনাবলি অসাধারণ। তার দলীয় আন্দোলনের সিদ্ধান্ত গুলো কর্মীদের সুসংগঠিত ও আন্দোলনে বেগবান করছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা তাকে আগামী’র জাতীয়তাবাদী দলের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়।

ভী-বাণী /ডেস্ক/আমু