মানব দেহের পেশিতে টান, সমস্যা ও সমাধান

ভী-বাণী ডেস্ক : হঠাৎ মানবদেহের হাত-পায়ের পেশিতে টান ধরা এটা কি সমস্যা..? পেশিগুলোতে টান ধরা মূলত শরীরে পানির ঘাটতি। শরীরে পানির ঘাটতি দেখা দিলে পেশিতে টান ধরার প্রবনতা বৃদ্ধি পায়। সঙ্গে তীব্র যন্ত্রণা শুরু হয়।

চিকিৎসার ভাষায়, পেশির কোন ক্রনিক অসুখ না থাকলে সাধারণত পানির ঘাটতি কমালে স্বস্তি মেলে। শরীরে পানির পরিমাণ বাড়ানো ছাড়াও এ সমস্যার সমাধানের ঘরোয়া উপায় আছে। তবে ঘরোয়া এই সব উপায়েও সমস্যা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
হাত-পা-আঙুল বা কোমরে ক্র্যাম্প থেকে মুক্তি পেতে আক্রান্ত স্থানে ও তার চারপাশে আঙুলের চাপে মালিশ করুন। এমনভাবে মালিশ করতে হবে, যাতে শক্ত হয়ে যাওয়া পেশি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হয়। পায়ের ক্র্যাম্পের ক্ষেত্রে মালিশের পর জায়গাটা একটু স্বাভাবিক হলে খুব কম চাপ দিয়ে ধীরে ধীরে স্ট্রেচিং করুন। অন্য কোনও ব্যায়াম এই সময় না করাই ভালো। যে পায়ে টান, হাঁটু ভাঙুন সেই পায়ের অন্য পা পিছনে টান টান করে ছড়িয়ে দিয়ে টান ধরা পায়ের হাঁটুর ওপর শরীরের ভর ধীরে ধীরে ছাড়ুন। উরুর পেশিতে টান লাগলে জায়গাটা নরম করে একটি শক্ত কিছুতে ভর দিয়ে দাঁড়ান। ক্র্যাম্প ধরা পা কোমর অবধি টানটান করুন ধীরে ধীরে।

কোমর ও পায়ের ক্র্যাম্প হাঁটাহাঁটি করতে পারলেও কমে। টান ধরলে হট ব্যাগ নিয়ে সেঁক দিন। দশ সেকেন্ড রাখার পর সেখানে বরফের সেঁক দিন। ফের দশ সেকেন্ড পর ফের হট ব্যাগ। এই ভাবে ঠান্ডা ও গরম সেঁক চালিয়ে যান আরাম না মেলা অবধি। ক্র্যাম্প সরে শরীর স্বাভাবিক হলেও সঙ্গে সঙ্গে পেশির উপর চাপ পড়ে, এমন কাজ করবেন না। কয়েক মিনিট বিশ্রাম নিন।

কিছু ঘরোরা উপায়ে পেশিতে টান সারানো যায়। তবে পানির ঘাটতি পূরণ করা খুবই জরুরি। ঘরোয়া পরিবেশে টান সারতে না পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।