লক্ষ্মীপুরে মেঘনার ভাঙন রোধে ঢাকায় মানববন্ধন
ঢাকা প্রতিনিধি : মেঘনার ভাঙন রোধে সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ করতে সরকারের প্রতি আহবানে মানববন্ধন করেন লক্ষ্মীপুর বাসি।
শুক্রবার (২৭ আগস্ট) লক্ষ্মীপুর জেলার স্থানীয় জনগন (রামগতি-কমলনগর এলাকাবাসী) ব্যানারে ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন করেন।
মেঘনা নদীর ভাঙনের ভয়াবহ লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলা ৩৭ কিলোমিটার উপকূলীয় অন্চল। মেঘনার ভাঙন রোঁধে ট্রেন্ডার আহবান করা হয়েছে। খুব শ্রীর্ঘ কাজ হবে। তবে কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ করালে কাজের মান সঠিক ও মানসম্মত হবে না। এমনটাই ধারনা করছে স্থানীয় জনগন। তাদের দাবি গত ৪ বছর আগে রামগতিতে সেনাবাহিনী দিয়ে সাড়ে ৪ কিমি কাজ করেন। একই সময়ে কমলনগরে ০১ কিমি কাজ ঠিকাদার দিয়ে করা হয়। রামগতিতে কাজের মান এখনো অক্ষত ও সয়ংসম্পূর্ন রয়েছে। কিন্তু কমলনগরে মাত্র ০১ কিমি কাজে গত দু’বছরে ১৫ বার ধস নেমেমে তলিয়ে যায়। যার কারনে জনগনের দাবি ঠিকাদার দিয়ে কাজের মান খারাপ ও দুর্ণীতি হবে ব্যাপক। যা নদী শাসনে কোন কাজে আসবে না।
এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় জনগন চাই ঠিকাদার নয়, সেনাবাহিনী দিয়ে নদী ভাঙন রোধে বাঁধের কাজ করা হোক। কোন ঠিকাদার নয়। গত কয়েকদিন যাবত উপজেলা, জেলা ও ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে স্থানীয় জনগন মানববন্ধন করে সরকারকে আহবান করেন কাজ যেন সেনাবাহিনী অথবা তাদের তত্তাবধানে হয়।
মানববন্ধনের বক্তব্য রাখেন, কমলনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ্ উদ্দিন বাপ্পী, তিনি বলেন,
টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই। কোন ঠিকাদার দিয়ে নদী শাসনের কাজ হবে না। ঠিকাদার দিয়ে কাজ করালে কাজের মান অঙ্গতি ও দুর্নীতি হবে ব্যাপক। যা নদী বাঁধে ব্যাপক ক্ষতিকর।
তিনি আরও বলেন, রামগতিতে সেনাবাহিনী কাজ করেছে। কাজের মান এখনো সয়ংসম্পূর্ণ। সেটা জেলার পর্যটন কেন্দ্রে পরিনত হয়েছে। অথচ কমলনগরে ঠিকাদার দিয়ে মাত্র ০১ কিমি কাজ হয়। দেখা যায় মাত্র দু’বছরে ১৫ বার ধস নেমে বাঁধ তলিয়ে যায়। পরিষেশে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ করতে বা তাদের তত্ত্বাবধানে কাজ করার জোর দাবি জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগর, তোরাবগঞ্জ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহমদ রতন, চর লরেন্স ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্লার হিরন, যুবলীগ নেতা সোহেল বাঙালীসহ প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলে লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলা হাজারও জনগন।
প্রসঙ্গত, মেঘনার ভয়াবহ ভাঙন রোধে একনেকে ৩১ শত ৯০ কোটি টাকা রবাদ্দ দেয়। এবং চলমান ট্রেন্ডার আহবানে ঠিকাদার দিয়ে কাজ হবে। যার পেক্ষিতে ঠিকাদার নয়, সেনাবাহিনী দিয়ে কাজ চায় স্থানীয় জনগন।