শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

Bhorer Bani
রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » ফিচার » এক নজরে মণিপুর
প্রথম পাতা » ফিচার » এক নজরে মণিপুর
৫১৭ বার পঠিত
রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০১৯
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

এক নজরে মণিপুর

 ---

ফিচার ডেস্ক

মণিপুর ভারতের উত্তর-পূর্ব ভারত একটি রাজ্য। এর রাজধানী ইম্ফল। এই রাজ্যের উত্তরে নাগাল্যান্ড, দক্ষিণে মিজোরাম, পশ্চিমে অসম ও পূর্বদিকে মায়ানমার। এই রাজ্যের আয়তন ২২,৩২৭ বর্গকিলোমিটার। সম্প্রতি একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী লন্ডনে মণিপুরের স্বাধীনতার ঘোষণা করেছে। আর এর ফলে এই রাজ্যকে নিয়ে শুরু হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা, উঠেছে প্রশ্ন।

জানা যায়, মৈতেই উপজাতির মানুষেরা প্রধানত রাজ্যের উপত্যকা অঞ্চলে বাস করে। এরাই রাজ্যের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী (জনসংখ্যার ৬০%)। মৈতেইরা পাঁচটি সামাজিক গোষ্ঠীতে বিভক্ত- মৈতেই মারুপ (এরা মৈতেই সংস্কৃতি ও মৈতেই ধর্মে বিশ্বাস করে), মৈতেই খ্রিস্টান, মৈতেই গৌর চৈতন্য (মৈতেই ধর্ম ও হিন্দুধর্ম উভয়েই বিশ্বাস করে), মৈতেই ব্রাহ্মণ (স্থানীয় নাম ‘বামোন’ ও মৈতেই মুসলমান (স্থানীয় নাম মিয়া মৈতেই বা পাঙ্গাল)। মৈতেই বা মণিপুরি ভাষা তাদের মাতৃভাষা এবং এই রাজ্যের প্রধান সংযোগরক্ষাকারী ভাষা (লিঙ্গুয়া ফ্রাঙ্কা)।

মণিপুরে প্রায় ২৯ লাখ মানুষের বাস। দাপ্তরিক ভাষা মেইতেই ও ইংরেজি। এছাড়াও, মোট ৩০ হাজার বাংলাভাষী মানুষ সেখানে রয়েছেন। ২০১১ সালের তথ্য অনুযায়ী, মণিপুরে ব্যবহৃত হয় ৩৩টিরও বেশি ভাষা! জনসংখ্যার মোট ৪১ শতাংশ হিন্দু ও ৪১ শতাংশ খ্রিষ্টান৷ ৮ শতাংশ মুসলিমও রয়েছেন সেখানে।

দক্ষিণ এশিয়ার সাংস্কৃতিক মানচিত্রে মণিপুরের সবচেয়ে বড় অবদান মণিপুরী নাচ, যা বর্তমানে ভারতে প্রচলিত শাস্ত্রীয় নৃত্যশৈলীর অন্যতম। এছাড়াও, সেখানে রয়েছে থাং-তা নামের মার্শাল আর্ট ও লোক আঙ্গিকের মঞ্চনাটকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা।

১৮৯১ সালে ব্রিটিশদের হাতে চলে আসার আগ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার বছর ধরে মণিপুর ছিলো স্থানীয় মেইতেই গোষ্ঠীদের দখলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন মণিপুর ছিলো জাপানি ও ব্রিটিশ বাহিনীর মধ্যে অন্যতম সংঘর্ষস্থল। ইমফলে জাপানিবাহিনীদের পরাজয় ছিলো যুদ্ধের সময় ব্রিটিশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সাফল্যের নিদর্শন।

১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র। কিন্তু সেই রাষ্ট্রে যোগদান করেনি মণিপুর। ১৯৪৯ পর্যন্ত মেইতেই রাজার রাজত্ব ছিলো সেই অঞ্চল। পরে, মহারাজা বোধচন্দ্রের তৎপরতায় ভারতে যোগদান করে মণিপুর। ১৯৭২ সাল থেকে অঙ্গরাজ্যের পূর্ণ মর্যাদা পায় মণিপুর। কিন্তু বিচ্ছিন্নতাবাদের শিকড় দানা বাঁধতে শুরু করে ষাটের দশক থেকেই। ১৯৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইউএনএলএফ, প্রথম মণিপুরী স্বাধীনতাকামী সংগঠন।

এরপর থেকেই শুরু হয় সহিংস বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের ধারা। বলা হয়, এমন একাধিক গোষ্ঠীকে চীনের তরফে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ১৯৮০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত মণিপুরকে ‘অশান্ত এলাকা’ অভিধা দেয় ভারত রাষ্ট্র। ফলে একদিকে বাড়তে থাকে সেনাবাহিনীর প্রশ্নাতীত ক্ষমতা।

অন্যদিকে, বাড়ে স্থানীয় মানুষের ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার ক্ষোভ।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলের অন্যান্য রাজ্যগুলির মতো মণিপুরও ভারতের অন্যান্য ‘মেইনল্যান্ড’ রাজ্যগুলি থেকে অনেকটাই পিছিয়ে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অন্যান্য সরকারি পরিষেবার পাশাপাশি নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তার মতো বিষয়কে ঘিরে মণিপুরের সাধারণ জনতার মধ্যে বেড়েছে অসন্তোষ। নিকটবর্তী নাগাল্যান্ডের স্বাধীনতা আন্দোলনও এতে ইন্ধন জুগিয়েছে, মনে করেন অনেকে।

মঙ্গলবার লন্ডনে একটি সংবাদ সম্মেলনে স্বঘোষিত মণিপুর স্টেট কাউন্সিলের মন্ত্রী নারেংবাম সমরজিৎ ঘোষণা দেন যে এখন থেকে আর ভারতের অংশ নয় তারা। শিগগিরই স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে জাতিসংঘে আপিল করবেন তারা, জানান সমরজিৎ। ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তরফে এবিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

 



কমলনগরে বহিরাগত যুবক দিয়ে অস্ত্রোপচার, স্বামী-সন্তান নিয়ে আড্ডায় মগ্ন ডা. ফাতেমাতুজ যাহরা
বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না-এমপি নজরুল ইসলাম বাবু
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে নৌকার প্রার্থী জাসদের মোশারেফ
লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে দু’জনের মনোনয়ন বাতিল
কমলনগরে ডেঙ্গু জ্বর মানে-ই হঠাৎ আতংক
লক্ষ্মীপুরে তৃণমুলে আলোচনায় যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী ভুলু
কমলনগরে বিএনপি’র অফিস ভাঙচুর
কমলনগরে প্রধান শিক্ষকের উপর হামলা, বিচার চেয়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ র্যালী
জামালপুরে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আ’লীগে মতবিনিময় সভা
জামালপুরে যুবলীগের তারুণ্যর জয়যাত্রা সমাবেশের প্রস্তুতি সভা
সরিষাবাড়ীতে জনতার সাথে মতবিনিময় করেন প্রকৌশলী মাহবুব হেলাল
ঈদের শুভেচ্ছা জানান ভাইস চেয়ারম্যান শিলা
ঈদের শুভেচ্ছায় আ’লীগ নেতা সাজু
“ডেইলি ভোরের বাণী” পরিবারে ঈদুল আজহা’র শুভেচ্ছা
কমলনগরে স্মার্ট ভূমিসেবায় চালু হয়েছে গ্রাহক সেবা