বুধবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » রাতের আধাঁরে নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ
রাতের আধাঁরে নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ
সংবাদ ডেস্ক : লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার বাসিন্দা মেঘনার ভাঙনে কবলিত হয়ে নতুন আবাস্থলে বসবাসকালে রাতের আধাঁরে জোরপূর্বক নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ উঠে স্থানীয় প্রতিবেশি মো.আবুল কালাম(৫০) পিতা-মৃত সফি উল্লাহ এর বিরুদ্ধে।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, মেঘনার ভয়াবহ ভাঙনে সব হারিয়ে নি:স্ব হয়ে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারটি নোয়াখালীর আন্ডারচর ইউপির ০৮নম্বর ওয়ার্ডের হাওলাদার সমাজে বাড়ি নির্মানে বসবাস শুরু করে। দীর্ঘদিন নতুন বাড়িঘর নির্মান করে স্বামী সংসার নিয়ে সুন্দর জীবন-যাপন আরম্ভ করে। গত কিছুদিন যাবত বাড়ির পাশে স্থানীয় খারাপ প্রকৃতির নারী লোভী, হিংস্র, লাঠিয়াল বাহিনীর প্রধান ও সন্ত্রাস মো.আবুল কালাম তার কু-মতলব হাছিল করতে পায়তারা শুরু করে। প্রায় সময় আন্চলিকতার বৈষম্যের প্রভাব বিস্তারে অসহায় ভুক্তভোগী পরিবারটিকে মারধর করে। শুনেছি, মাঝে-মধ্যে প্রাণ নাশের হুমকিও দিচ্ছে। গত ১৪ জানুয়ারী দিবাগত রাত্রে ভুক্তভোগী নারীকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা চালানো হয়।
অভিযোগসূত্রে বাদি জানান, মেঘনার ভাঙনে সব হারিয়ে নতুন বাড়ি-ঘর নির্মান করে বসবাস শুরু করি। নতুন স্থানে প্রতিবেশিদের সাথে বেশ ভালোই চলছিল। হঠাৎ অভিযোগকারী আবুল কালাম তার বাড়ির পাশে কিছু জমি ক্রয় করেন। জমি ক্রয়ের কিছুদিন পর থেকে হঠাৎ গাছ কাটার অজুহাতে তাদের উপর চওড়া হন। প্রায় সময় মারধর ও আন্চলিকতার বৈষম্য দেখিয়ে হয়রানি মুলক আচারণ ও খারাপ নজর দিতে শুরু করেন। গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে অভিযোগকারী তার এবং পরিবারে উপর হামলা চালান। কিছুদিন তার ভয়ে চুপ থাকলেও পূর্ণরায় অভিযোগকারী ও তার পরিবার তাদের উপর আবারও পাশবিক নির্যাতন চালান। ঘটনার দিন হঠাৎ প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে রাতে ঘর থেকে বের হতেই অভিযোগকারী ও তার সাথে থাকা তিন-চার জন লোক তাকে তুলে নিয়ে যান। তার পরণে থাকা জামা-কাপড় ছিঁড়ে ধর্ষনের চেষ্টা করেন। তিনি জোরে চিৎকার দিতে গেলে মারধর শুরু করে এবং অজ্ঞান করে ফেলে রেখে যান।
তিনি আরও জানান, অভিযোগকারী এলাকায় কোন মুরুব্বি ও সালিশ দরবার তোয়াক্কা করে না। তার এবং পরিবারের ভয়ে স্থানীয়রা অসহায়। তার সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে স্থানীয়রা অতিষ্ঠ ও হয়রানি হচ্ছে। কেউ কিছু বললে জোরপর্বক অত্যাচার ও নির্যাতন চালান। তিনি তার এবং পরিবারের নিরাপত্তার চেয়ে বিচার দাবি করেন।
অভিযুক্ত মো.আবুল কালাম জানান, ভুক্তভোগী নারীর বাড়ির পাশে তার ফসলি জমি রয়েছে। তিনি বাড়ির আড়াতে থাকা গাছগুলোর ডাল-পালা কেটে দিতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ভুক্তভোগী নারী তাকে ফাঁসাতে ধর্ষণের নাটক সাজান। তিনি ধর্ষণের সাথে জড়িত নন।
নোয়াখালীর সুধারাম থানা ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহিদুল ইসলাম রনি জানান, নোয়াখালী জেলায় আন্ডারচর খুবই বড় ইউপি। জনগনের রাজ্য হলেও শিক্ষার বৈষম্য বেশি থাকায় জনমতে আইন শৃঙলা রোধে সচেতন না। তবে সবসময় পুলিশ কাজ করছে শৃঙলা রক্ষার্থে। ধর্ষণের চেষ্টার বিষয়ে অবগত হয়েছি। তদন্ত চলছে, ঘটনার সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।