বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » নদ-নদী » টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই - নদী শাসন সংগ্রাম পরিষদ
টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই - নদী শাসন সংগ্রাম পরিষদ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই, দাবীতে মানববন্ধন করেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সর্বশ্রেনির আপাময় জনগন। মেঘনার ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মানে প্রকল্প অনুমোদিত হয়। বাঁধ নির্মানে কাজ সেনাবাহিননী দিয়ে করা হোন দাবি উঠে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ‘কমলনগর নদী শাসন সংগ্রাম পরিষদ’ কমলনগর উপজেলার পরিষদের সামানে রামগতি-লক্ষ্মীপুর সড়কে মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব, কমলনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ মজিদ, সাধারণ সম্পাদক ইউছুফ আলী মিঠু চর লরেন্স ইউপি চেয়ারম্যান আহসান উল্ল্যাহ হিরন, মোস্তাফিজুর রহমান, মিরাজ হোসেন শান্তসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা।
মানববন্ধনে বক্তরা বলেন, টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীর বিকল্প নেই। রামগতির আলেকজান্ডারে ২০১৫ সালে সেনাবাহিনী দিয়ে নির্মিত বাঁধ টেকসই হয়েছে, সেটি এখন পর্যটন কেন্দ্র; অথচ একই সময়ে ঠিকাদার দিয়ে করা কমলনগরে তীর রক্ষা বাঁধে অন্তত ১৫ বার ধস নামে। যে বাঁধ এখন বিধ্বস্ত। যে কারণে নতুন অনুমোদিত তিন হাজার ৯০ কোটি টাকার প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর দিয়ে বাস্তবায়ন করার প্রাসঙ্গিক যুক্তি বক্তারা তোলে ধরেন।
মেঘনা নদী ভয়াবহ ভাঙন থেকে রামগতি ও কমলনগর উপজেলা রক্ষায় সম্প্রতি একটি প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। ৩১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য তিন হাজার ৯০ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ কাজ বাস্তবায়নে ঠিকাদার নয়; টেকসই বাঁধ নির্মাণে সেনাবাহিনীকে চায় দুই উপজেলার ৭ লাখ মানুষ। জরুরী ভিত্তিতে অনুমোদিত প্রকল্পের কাজ শুরু করা ও কাজের গুনগতমান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে প্রকল্পটি বাস্তবায়েরন জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি ও সংসদে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মেজর (অব.) আবদুল মান্নান। একই দাবিতে ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ও রামগতিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।
মেঘনা নদীর ভাঙন এখন আরও ভয়াবহ। বিলীন হয়ে যাচ্ছে বিস্তীর্ণ জনপদ। নদী গর্ভে চলে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হাট-বাজার ফসলি জমি রাস্ত-ঘাট ও সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা। সব হারিয়ে হাজার হাজার পরিবার এখন নিঃস্ব। শেষ সম্বল বাঁচাতে ঠেকসই বাঁধের আকুতি এখন এ উপকূলের মানুষের।